Monday 8 June 2020

গান-বাজনা যে হারাম তা কুরআন অথবা হাদীস থেকে দেখাতে পারবেন ?

যারা এরকম প্রশ্ন করে তাদের জন্য হতাশার বাণী হলো -
.
পবিত্র কুরআনে সূরা লুক্বমানের ৬ নম্বর আয়াতে কারীমায় "গান" নিয়েই বলা হয়েছে। উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে ,

"একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে 'অসার বাক্য' সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি"
.
ইবনে মাস'উদ, ইবনে আব্বাস ও জাবের (রাদ্বিয়াল্লাহু 'য়ানহুম ওয়া আজমাঈন) এর মতে "অসার বাক্য" বা "অবান্তর কথাবার্তা" এর অর্থ গান-বাজনা করা।
অধিকাংশ সাহাবী, তাবেয়ী ও মুফাসসিরগণের মতে এর অর্থ গান, বাদ্যযন্ত্র ও অনর্থক কেচ্ছা কাহিনীসহ যেসব বস্তু মানুষকে আল্লাহর ইবাদত ও স্মরণ থেকে গাফেল করে রাখে।
.
ঈমাম বুখারী (রহ:)-এর মতে, গান ও গানের অনুরূপ অন্যান্য বিষয় বোঝানো হয়েছে যা আল্লাহর ইবাদত থেকে মানুষকে গাফেল করে দেয়।
.
@
এবার হাদীস থেকে দেখুন যেটা আরও স্পষ্ট।
.
عَنْ أَبِيْ مَالِكِ الأَشْعَرِىِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَيَكُوْنَنَّ مِنْ أُمَّتِيْ أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّوْنَ الْحِرَ وَالْحَرِيْرَ وَالْخَمْرَ وَالْمَعَازِفَ.
বর্ণনাকারী
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ‘অবশ্যই অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান-বাজনা বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে’

(বুখারী হা/৫৫৯০) ঊপদেশ, হাদিস নং ৯৫

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

.
যারা এরকম প্রশ্ন করে তাদের ক্ষেত্রে বলছি, আচ্ছা! কুরআনে থাকলেই কি তারা মানবে?
.
- যারা গান শুনে তারা কি কুরআনের বাকী সব আদেশ-নিষেধ মেনে চলে?
- তারা কি কুরআন অনুযায়ী জীবন যাপন করে?
- কুরআন পড়ে? গবেষণা করে?
- তাহলে কুরআন থেকে দলীল চায় কেন?
- যারা গান নিয়ে ডুবে থাকে তারা কি কুরআন অনুযায়ী জীবন যাপন করে?
.
এটা শুধুমাত্র তাদের নিজেদের মতবাদের উপর অটল থাকার একটা অনর্থক চেষ্টা, আর কিছু নয়।
.
(Collected + Modified)
Previous Post
Next Post
Related Posts

0 comments: